চরভদ্রাসন ,সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: দায়ভারই বা কে নেবে? পদ্মার চারদিকে এখনো স্বজনদের কান্নার রোল, আহাজারি। আপনজনের খোঁজে স্বজনরা পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন চারপাশে। অনেকে আপন মানুষটির শেষ নিশানাটুকুও খুঁজে পাননি। অনেক পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়েছেন। কেউ বাবা হারিয়েছেন, কেউ মা হারিয়েছেন, কেউ ভাই অথবা বোন হারিয়েছেন। প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে কেউ এখন বিধবা হয়ে গেছেন। সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী দুজনই হয়তো একসঙ্গে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

হয়তো কারো একজন মানুষের ভুলে, হয়তো কোন প্রতিষ্ঠানের ভুল , হয়তো নিয়ন্ত্রনাধীন প্রশাসনের ভুল, নইতো অসাবধানতা! হতে পারে কোন কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারন ! যে কারনই হউক-যাত্রীদের বীমা সুবিধা ও নিরাপত্তা তদারকির দায়দায়িত্ব যাদের উপর ছিল, তাদের অর্পিত দায়-দায়িত্বের অবহেলা ও ব্যার্থতার দায়ভার তারা কোনভাবেই এড়াঁতে পারেনা এই দায় তাদেরকেই নিতে হবে।

পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবার লিগ্যাল নোটিশের বিপরিতে, কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে ইন-লিগ্যাল বক্তব্য আশা করেনা স্বপ্নভঙ্গ পরিবারগুলো এবং দেশের মানুষ।

দেশের মানুষ আশা করে, তদারকির দায়দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ ঘটনার দায় স্বিকার করে , দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারদেরকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে, তাদের পাশে দাড়িয়ে, মানবিকতার পরিচয় দিবেন ।

কারন ,অনেক পরিবারের স্বপ্ন, সুখের সংসার ভেঙে এখন টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। প্রিয়জন এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে অনেক পরিবার এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে।

এমন করুণ দৃশ্য আমরা আর দেখতে চাই না। এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটুক